বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান দুটি শেয়ারবাজার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বিপরীত দিকে চলেছে।এই দিন ডিএসইতে সূচক পতন হয়েছে। অর্থাৎ বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমেছে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।অন্যদিকে, সিএসইতে সূচক বেড়েছে। এর অর্থ হল, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫.৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ০.৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১.১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৫টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৯টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪৭৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৯.২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৮১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১.৯০ পয়েন্ট কমে ৯৩৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৫৮.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৮৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে ২১৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৭টি কোম্পানির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।