কক্সবাজার–সেন্ট মার্টিন নৌপথে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে যাচ্ছে না। ৩৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা থাকলেও মাত্র তিনজন যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করায় জাহাজ মালিক পক্ষ প্রথম দিনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ নামের একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়। যেটি আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বিআইডাব্লিউটিএর ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার কথা ছিল।
কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছড়াস্থ বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাট দিয়ে জাহাজ ছাড়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু যাত্রীসংকটের কারণে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকীর মতে, কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। কিন্তু গত বুধবার রাত পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন যেতে ইচ্ছুক যাত্রীর টিকিট বুকিং দিয়েছেন মাত্র তিনজন।
তাই যাত্রীসংকটের কারণে বৃহস্পতিবার জাহাজটি না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণে কমিটির প্রথম বৈঠক মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিবেশসহ সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনার পর জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বীপে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন না।