আর্জেন্টিনা দলটি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। লিওনেল মেসির অসাধারণ খেলা এবং দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের কারণে তারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলটির পারফরম্যান্সে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এবং ফ্রান্স দল দারুণ ফর্মে রয়েছে। ফ্রান্সের উত্থান এবং আর্জেন্টিনার কিছুটা ধীরগতির কারণে আর্জেন্টিনার বিশ্বের সেরা দলের তকমা হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলের পরাজয় আর্জেন্টিনাকে ৫.৫২ রেটিং পয়েন্ট হারাতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে, ফ্রান্স ইতালিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ৭.৯৩ পয়েন্ট অর্জন করে। ফলে আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থান ফ্রান্সের জন্য হাতছানি দিচ্ছে।
আগামী ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে জয় প্রয়োজন লিওনেল স্কালোনির দলের জন্য। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুয়েনস আয়ার্সের লা বোম্বোনেরায়। পেরু বর্তমানে বাছাইপর্বের টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে এবং তাদের ১১ ম্যাচে একটিমাত্র জয় রয়েছে।
ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনা বরাবরই শক্তিশালী। চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে তাদের শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৬-০ গোলের বড় জয় এসেছে। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারা, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ ড্র এবং প্যারাগুয়ের কাছে হারের ফলে আর্জেন্টিনার আত্মবিশ্বাস কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে।
এছাড়াও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়—ক্রিস্টিয়ান ‘কুটি’ রোমেরো এবং নাহুয়েল মোলিনা। রোমেরো প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়েন, আর মোলিনা ৭৭ মিনিটে বদলি হয়ে বেরিয়ে যান।
তাদের অনুপস্থিতিতে লিওনেল স্কালোনি দলে ডেকেছেন জুলিয়ানো সিমিওনেকে। সাংবাদিক গাস্তন এদুলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোমেরো ও মোলিনার জায়গায় লিওনার্দো বালার্দি এবং গঞ্জালো মনতিয়েল খেলতে পারেন।
বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং (অক্টোবর ২০২৪)
১. আর্জেন্টিনা
২. ফ্রান্স
৩. স্পেন
৪. ইংল্যান্ড
৫. ব্রাজিল
৬. বেলজিয়াম
৭. পর্তুগাল
৮. নেদারল্যান্ডস
৯. ইতালি
১০. কলম্বিয়া
আর্জেন্টিনার জন্য পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি দলের গর্ব, আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।