পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা দেবে। বিশৃঙ্খলা হবে না এমন আশ্বাস পাওয়ার পর আমরা কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নতুন সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ কথাগুলো বলেন।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা দেবে। বিশৃঙ্খলা হবে না এমন আশ্বাস পাওয়ার পর আমরা কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করছে।’ তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভের কারণে আজ ১৬৭ কারখানা ছুটি হয়ে গেছে। কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, কারখানার অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা বিক্ষোভ করছে চিহ্নিত করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারি।
এসময় বিজিএমইএর সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বিক্ষোভ শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য শিল্পেও ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্পকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিল্প পুলিশ মূল ভূমিকা রেখে থাকে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনায় তারা বিপর্যস্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি কার্যকর নয়। এ সুযোগে সবাই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছেন। ৫০–৬০ বহিরাগত লোক এসে হামলা করে গেট ভেঙে দিচ্ছে। এই গ্রুপে কিশোর গ্যাং, টোকাইসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষ আছে। অনেক কারখানায় স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরাপত্তার কাজ করছেন।
পর্যটন সংবাদ/