রাজশাহীতে কেটে ইলিশ মাছ বিক্রি করা শুরু হয়েছে। ফলে ক্রেতারা চাইলে তার চাহিদা মতো ইলিশ মাছ কিনতে পারবেন। এতে ক্রেতারা খুশি হলেও বিক্রেতারা বলছেন, সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রামের নিচে ইলিশ কেনা-বেচায় লোকসান হবে তাদের। কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছ ক্রেতারা কিনলে মাছের প্রায় সব অংশ থেকে পাবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের মাছপট্টিতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
এ সময় পরিষদের নেতারা ব্যবসায়ীদের ক্রেতাদের কাছে সব ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির জন্য নির্দেশনা দেয়। পরে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে কেটে টুকরা করে ইলিশ মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আকার ভেদে রাজশাহীর বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত। এসব মাছের ওজন ৬০০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজি পর্যন্ত। ফলে কেজি ওজনের ইলিশ মাছগুলো অনেক সময় ক্রেতাদের কিনতে হয় ২ হাজার টাকার বেশি দামে। ফলে চড়া দামের কারণে অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পক্ষে আস্ত ইলিশ কেনা সম্ভব হয়। এতে করে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় জাতীয় এই মাছটি।
একজন ইলিশ মাছ বিক্রেতা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীর বাজারে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এটি ভালো উদ্যাগে। বড় ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা কেজি। আর প্রতি ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। তার কাছে দুপুর ১২টার পর্যন্ত চারটি কাটা মাছ বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রামের নিচে ইলিশ মাছ নিলে লোকসান হবে। কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছ ক্রেতারা কিনলে মাখা, লেজ সহ বিভিন্ন অংশ পাবে। সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাছ বিক্রি ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য ভালো হবে।
ইলিশ মাছ ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের পণ্য তবুও মানুষ কিনে খেতে পারে না। বিষয়টা নিয়ে নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত মানুষের মনে এক ধরনের কষ্ট বিরাজ করে। আগে বড় লোকেরা ২ হাজার টাকা কেজির ইলিশ খেত। এখনও গরিবও একই দামের ইলিশের স্বাদ পাবে তার স্বাধ্যের মধ্যে। সব মিলে উদ্যোগটা ভালো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীর সাহেব বাজারে ক্রেতারা কাটা ইলিশ মাছ কিনতে পারবে। যার যা সমর্থ সেই অনুযায়ী মাছ কিনতে পারবেন ক্রেতারা। ক্রেতারা ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছ কিনতে পারবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দাম চড়া কারণে গরিব মানুষ বছরে এক টুকরা ইলিশও খেতে পান না। তাদের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেজি হিসাবে মাছের যে দাম ধরা হবে, কেটে একই দাম নিবে মাছ ব্যবসায়ীরা। যদি কোন ইলিশ মাছ বিক্রেতা ক্রেতাদের কাছে কাটা ইলিশ মাছ বিক্রি করতে অস্বীকার করে তাহলে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানাবেন। তারা মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবে।
পর্যটন সংবাদ/