গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন , আওয়ামী লীগের লোকজন জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর একথা বলেন তিনি। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাশেদ খান বলেন , গণহত্যার বিচারের আগে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম তারা (আ.লীগ) করতে পারবে না। আর আ. লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কেন এখনো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? এই দেশকে তারা ধ্বংস করেছে।
সাংবাদিকদের সাঙ্গে আলাপকালে রাশেদ খান বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা দেখলাম, জাতীয় পার্টির লোকজনও শ্রদ্ধা নিবেদন করলো। কিন্তু এরা জাতীয় পার্টি না, এরা আ. লীগ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জিএম কাদের বলেছে, আমাদের সমাবেশে যদি আ. লীগের কর্মীরা আসে, আমাদের করার কিছু নাই। উন্মুক্ত সমাবেশে তারা আসতেই পারে। তিনি আরও বলেছেন, আগামী নির্বাচন আ. লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সুষ্ঠু হবে না। তার মানে কি? জিএম কাদের আ. লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে।
রাশেদ দাবি করে বলেন, আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ নাই? কীভাবে জাতীয় পার্টি ঢুকলো? সারাদেশে তো জাতীয় পার্টির ১০০ জনও সক্রিয় কর্মী নাই। এর আগে তারা লোকভাড়া করে সমাবেশ করেছে। অথচ আজকে ৫০০-৬০০ লোক নিয়ে এসেছে। এগুলো কেউ জাতীয় পার্টি না, এরা আ. লীগ। এদের গ্রেপ্তার না করে, কেন ঢুকতে দেওয়া হলো?
আমাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আ. লীগ ও জাপা স্মৃতিসৌধে যেতে পারবেনা। তাদের সুযোগ দিলে তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। এই দেশকে তারা ধ্বংস করেছে। ২০০০ শহীদ, ৩০০০০ আহত, এদের রক্তের সঙ্গে কোনো বেইমানি সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, আরেকটি কথা বলতে চাই, ৭১ এর সঙ্গে ২৪ কে মিলিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করবেন না। ৭১ এ একটি ভূখণ্ডের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই লড়াইয়ের সাথে অন্য কোনকিছুর তুলনা বেমানান। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা যেদলই করুক না কেন, যে আদর্শেরই হোক না কেন, তাদের নিয়ে বিতর্ক করা যাবেনা। যারা জনগণের পক্ষে এবং কোনো অন্যায় করেনি তাদের আজীবন শ্রদ্ধা করতে হবে।
রাশেদ বলেন, সরকারকে বলবো, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আ. লীগ হাইকমান্ডকে গ্রেপ্তার না করে কিসের বিচার করবেন? বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবে না। আগে রাঘব-বোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন, ১৪,১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন।