আগামী ২ নভেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ফ্লাইট শুরু করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে এ রুটে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে সংস্থাটি। নতুন পরিষেবাটি অত্যাধুনিক বোয়িং বি৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালিত হবে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স চালু হলে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন গন্তব্যে আকাশপথে বাংলাদেশিদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এতে বিদ্যমান এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
বর্তমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৪টি বিদেশি এয়ারলাইন্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিবহন করে। ইথিওপিয়ান যোগ হলে বিদেশি এয়ারলাইন্সের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫টিতে। যদিও এখন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া আগামীতে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশে জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) প্রতিষ্ঠান রিদম গ্রুপ সূত্র জানায়, যাত্রী পরিবহন, বহরের আকার এবং আয়ের দিক থেকে ইথিওপিয়ান আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারলাইন্স। এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এয়ারলাইন হিসেবে স্থান পেয়েছে। এখন বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাটি। কারণ, যাত্রী পরিসংখ্যানে আকাশ পথে পরিবহনে বাংলাদেশ একটি বৃহৎ মার্কেট।
সূত্র আরও জানায়, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স চালু হলে আদ্দিস আবাবায় ট্রানজিট দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬২টি এবং ইউরোপ, আমেরিকার আরও শতাধিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। তখন বেবিচক তাদের নিজ দেশের কূটনীতিকদের মাধ্যমে (ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল) যোগাযোগ করে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবেদনের অনুরোধ করে। পরে নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে তারা ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করে।
বেবিচক আরও জানায়, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ এয়ার সার্ভিস চুক্তি সই করে। দুই সপ্তাহ আগে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেবিচক।
পর্যটন সংবাদ/