শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর)। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটিগুলো যোগ হয়ে চার দিনের ছুটি পেয়েছে অনেকেই। এই লম্বা ছুটিতে অবকাশ যাপনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজার ছুটে আসছেন পর্যটকেরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটকেরা শহরের সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করছেন।
পর্যটন শহর কক্সবাজার ও আশপাশের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজে ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের জন্য রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত শতভাগ কক্ষ বুক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সে জন্য পর্যটকদের আগেভাগেই হোটেল বুকিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্র পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল। তবে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজারে পর্যটক আসা শুরু হয়। পর্যটন দিবস উপলক্ষে হোটেল কক্ষ ভাড়ায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েও তেমন পর্যটক ঘুরতে আসেননি। তবে পর্যটকের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা কক্ষ ভাড়ার ওপর ছাড় প্রত্যাহার করে নেন বলে জানা গেছে।
এদিন বিকেলে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্রসৈকতে ভরপুর পর্যটক। দীর্ঘদিন নিষ্প্রাণ থাকা সৈকত তীর সেই পুরোনো রূপে ফিরেছে।
দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের এই তিন স্পটে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক সমুদ্র দর্শনে নেমেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সুপারভাইজার বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে এখন লাখো পর্যটক অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ছুটছেন পর্যটকেরা। এ সড়কে দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা, ইনানী ও পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত, টেকনাফ, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধপল্লি, চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও নিভৃতে নিসর্গে পর্যটক ভিড় করছেন।
সুগন্ধা পয়েন্টে দুই সন্তানের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করছিলেন মাসুম সিদ্দিকী। তিনি রাজধানীর মালিবাগ থেকে এসেছেন। সরকারি চাকরিজীবী।
পর্যটন সংবাদ/