বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এই নিয়ে বর্তমানে উত্তাল কলকাতা।
ইসকন নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে স্মারক জমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।
এসময় শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকজনের সাথে বাংলাদেশের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে আমরা আন্দোলন আরও জোরালো করব। আমরা এ কথাই জানাতে এসেছিলাম বাংলাদেশের কর্মকর্তাকে।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছেন, ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানাবো যেন ভিসা এখনই চালু না করে। এর পাশাপাশি আমরা আগামী রোববারের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সোমবার থেকে পেট্রাপোলে অবরোধ করব। ওই পথ দিয়ে যাতে বাংলাদেশে কোনো পণ্য যেতে না পারে। এই পথ অবরোধ চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। যতদিন ওনাকে মুক্তি দেওয়া না হয়।
তবে এসময় কোনো যাত্রীবাহী বাস অবরোধ করা হবে না বলে জানান শুভেন্দু।
গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা গড়াতেই কলকাতা পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে বাংলাদেশ মিশন চত্বর। আগাম অশান্তির খবর পেয়ে বিকেল ৩টা থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
সোয়া ৩টার দিকে বিশাল জমায়েত নিয়ে রবীন্দ্রসদন থেকে মিশনের দিকে এগোতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ পথেই তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ৭ জন বিধায়ক মিশনের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি আছে। সেই মোতাবেক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে সাতজন বিধায়ক ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. শঙ্কর ঘোষ, শিখা চ্যাটার্জি, দীপক বর্মন, বুধরাই টুডু, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, নিখিল রঞ্জন দের মত বিধায়করা।
তারা দেখা করেন বর্তমান দূতালয় প্রধান মো. সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমানের সাথে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
যদিও মিশন সূত্রে জানা গেছে, বিজেপি প্রতিনিধিরা কোনো লিখিত স্মারক জমা দেননি। দীর্ঘ ২২ মিনিট আলাপচারিতা পর বের হন তারা। এরপরই হুমকির সুরে বলেছেন, মুক্তি না দিলে পশ্চিমবঙ্গ আরও উত্তাল হবে।