হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এই হামলার সঙ্গে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর পূর্বের যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান মজুমদার জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদলের হান্নানের নেতৃত্বে বহিরাগত ছাত্রলীগ নিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান মজুমদারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছেন হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম এবং সাবেক সদস্য আসাদুল ও বহিরাগত ছাত্রলীগ সহ ৪০ থেকে ৫০ জন ছিল এই হামলায়।
জানা গেছে, এই হামলায় ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা সবাই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- গোলাম রাব্বী, মোহাম্মদ তুহিন, অর্ণব এবং আমিনুল ইসলাম।
হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মিথিল বলেন, আমিও এবিষয়ে শুনেছি। আমাকে একজন ছাত্র ফোন করে বলেছে যে, মারামারি হয়েছে। তবে প্রিন্সিপাল আমাকে জানিয়েছে কলেজের বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে। চলমান ছাত্ররা যদি মার খেয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খারাপ, তাই সেটি প্রিন্সিপালকে দেখতে বলেছি আমি।
হামলায় আহত শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানান, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। সাধরণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি কেন কাজ করছি এবং কলেজে কোনো কাজ করলে তাদেরকে কেন জিজ্ঞেস করিনা, এজন্যই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হান্নান মজুমদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে।
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান মজুমদার বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে মহনগরীর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবাই মিলে বিষয়টির সুরহা করা হবে।