মানবদেহে প্রায় বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । এর মধ্যে একটি বড়ো ধরনের সমস্যা হলো খাওয়ার পরে পেট ফাঁপা কিংবা বুকে জ্বালাপোড়া বোধ করা । এটি হতে পারে একটি অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের সম্ভাব্য লক্ষণ । আজকাল আমাদের খাদ্যের একটি বড় অংশে অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যা এই ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে । চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবার গুলো কি কি –
১.দই
খাবার পরে এক বাটি খাওয়া দই খেলে আপনার বুক জালাপোড়া সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন এটি আমাদের ভেতর থেকে ঠান্ডা হতে সাহায্য করে এবং এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।
২.হলুদ
হলুদ একটি জনপ্রিয় মসলা এবং এর চমৎকার ঔষধি গুণের জন্যও পরিচিত। আমাদের ক্ষত নিরাময় করতে বা ত্বকের যত্নেও নিয়মিত এটি ব্যবহার করা হয়। আপনি কি জানেন যে এই হলুদ মসলাটি আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে? যেহেতু এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, তাই এটি হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, এইভাবে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় হলুদ যোগ করুন।
৩.বাটারমিল্ক
এক গ্লাস বাটারমিল্ক গরমের সময়ে আরাম দিতে কাজ করে। তবে এটি পান করা যায় সারা বছরই। এতে প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বেশ উপকারী বলে পরিচিত। খাবারের পরে এক গ্লাস বাটারমিল্ক পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এটি পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে। এর সঙ্গে গোলমরিচ, জিরা বা পুদিনার মতো ভেষজ যোগ করতে পারেন। আপনার খাদ্যতালিকায় এটি যোগ করলে পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দুর করে ।
৪.আমলকি
আরেকটি দেশি সুপারফুড যা বেশ জনপ্রিয় তা হলো আমকি। যদিও আমরা সবাই জানি যে এটি ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি পেটের জন্যও উপকারী? আমলকিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হজমের স্বাস্থ্যকে সাহায্য করে এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করে। তাই, আমলকি আপনার ডায়েটে যোগ করে ডায়রিয়া এবং পেশীর ক্র্যাম্পের মতো সমস্যাকে বিদায় বলুন।
৫. ঘি
এই জাদুকরী সুপারফুডটি আমাদের প্রায় সবার রান্নাঘরেই থাকে। এর অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখা। যেহেতু ঘিতে বিউটরিক অ্যাসিড থাকে, তাই এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী বলে জানা যায়। এই অ্যাসিড ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। আপনার খাবারে এই জাদুকরী সুপারফুড যোগ করতে দ্বিধা করবেন না। তবে মনে রাখবেন যে পরিমিত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।