প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন গত সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। তবে কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বেড়েছে। এরপরও সপ্তাহজুড়ে দাম কমার তালিকা বড় হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টির। আর ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরপরও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা বা দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দাম কমার তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের গতি কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ২ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ব্যাংক, এমজেএল বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ফারইস্ট নিটিং, ওরিয়ন ফার্মা এবং বিচ হ্যাচারি।