ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের একমাস পর স্বরূপে ফিরেছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। সাগরকন্যায় পর্যটকের ঢল নেমেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। এখন পর্যটক বাড়ছে।
কুয়াকাটা সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সের হাজারো পর্যটক সাগর তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি করে নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন। রোদ ও মেঘের প্রকৃতিতে সমুদ্রের নোনা পানিতে গা ভাসিয়ে ভ্যাপসা গরমে একটু প্রশান্তির পরশ নিতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ কেউ ওয়াটার বাইকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
বয়স্ক পর্যটকরা সৈকতের ছাতার নিচে বেঞ্চ-এ বসে সমুদ্রের তীরে আছড়েপড়া ঢেউ উপভোগ করছেন। নানা বয়সের পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেজা বালু দিয়ে পিরামিড তৈরি করে নিজেকে বন্দী করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে।
গাজীপুর থেকে বেড়াতে আসা দম্পতি শফিক ও অরুণা বলেন, এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো কুয়াকাটায় এসেছি। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সবসময় বিমোহিত করে। অনেকদিন ধরেই আসবো আসবো করে ভাবতেছিলাম কিন্তু দেশে অস্থিরতার কারণে আসতে পারছিলাম না।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক জুয়েল চৌধুরী জানান, সাগরের ঢেউয়ের মাঝে গোসল করতে তার খুব ভালো লাগে। সে জন্য সমুদ্রবর্তী এলাকাগুলোতে প্রায় সময়ই ছুটে যান। সমুদ্র ভ্রমণের প্রতি দুর্বলতা থাকায় মাঝেমধ্যেই চলে আসেন কুয়াকাটায়।
সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকার পাশাপাশি রাখাইন পল্লি, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহার, ঝাউ বাগান, গঙ্গামতির লেক, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুরবন, আন্ধারনামিক নদীর মোহনা, ফরাতারবনসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে হাজারো পর্যটক। ঝিনুক মার্কেট, খাবার হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলোতে বেচা কেনাও রয়েছে চোখে পড়ার মতো।
পর্যটন সংবাদ/