ইউক্রেন বুধবার যুক্তরাজ্যের তৈরি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে।এই তথ্য দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস ইউক্রেনের সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশ করেছে।এর আগের দিন, মঙ্গলবার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও রাশিয়ায় আঘাত করার চেষ্টা করেছিল।
এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অফিস ।
গত বছর যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র দিয়েছিল। কিন্তু শর্ত ছিল, এই ক্ষেপনাস্ত্র কেবল ইউক্রেনের ভেতরেই ব্যবহার করতে হবে।
কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি চাচ্ছিলেন।
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করতে পারে। ফলে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার গভীরে আক্রমণ করতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যদি রাশিয়ার ভিতরে আক্রমণ চালানো হয়, তার অর্থ হবে, ন্যাটো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন ভূমিমাইন খুবই জরুরি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তারা ইউক্রেনকে ভূমিমাইন দিচ্ছে। তবে এসব ভূমিমাইন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। না হলে এর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলেনস্কি বলেছেন, এর ফলে ইউক্রেনের সেনারা আরও শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস আজ বৃহস্পতিবার খুলবে।
গতকাল বুধবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ছিল। কোনো হামলার ভয়ে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল কিনা, তা মিলার জানাননি।
তবে মিলার বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।’
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে তাদের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছিল।রাশিয়া এই হামলার জবাবে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয় ।