পর্যটনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে এ খাতে দ্রুত প্রসার ঘটছে। নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একুশ শতকের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন খাত।
যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রভাব রাখছে পর্যটনের বিকাশে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাহিদা অনুযায়ী পর্যটনের প্রসার ঘটছে। নতুন নতুন স্থানে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাত গত কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন আয় প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি ২০২৮ সালে ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। অর্থাৎ পর্যটন খাত এই সময়ের মধ্যে বার্ষিক ২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
পর্যটনের জন্য সরকারি উদ্যোগগুলোও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সরকার ইকোটুরিজম এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে প্রচারের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো যেমন প্রাচীন মন্দির এবং মসজিদ দর্শকদের জন্য বড় আকর্ষণ সৃষ্টি করছে
বাংলাদেশে বর্তমানে এডভেঞ্চার ট্যুরিজমেরও উত্থান হচ্ছে, যেখানে ট্রেকিং, হাইকিং এবং নদী র্যাফটিং-এর মতো কার্যক্রম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এছাড়া, দেশটির উন্নত অবকাঠামো এবং নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান আয়ের কারণে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে
সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের এই ধারাবাহিক উন্নতি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন সংবাদ/