বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ড কেনা-বেচার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংক চার্জ ফি নির্ধারণ করেছে। এই চার্জের মূল উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগকারীদের লেনদেন সহজতর করা এবং প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ রাখা।
ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ট্রেজারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নেবে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে
নির্ধারিত হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে এমন একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে থাকে। আর সেই অনুযায়ী ফি আরোপ করা হয়। সাধারণত, ট্রেজারি বিলের মেয়াদ ৯১, ১৮২, এবং ৩৬৪ দিন হয়, আর বন্ডের মেয়াদ ২ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
এ চার্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এখন আরও সহজে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারবেন, কারণ এতে খরচের স্পষ্টতা আসবে এবং ট্রেডিংয়ের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এছাড়া আয়কর সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদেরকে বছরে একটি সনদ বিনা মূল্যে দিতে হবে। তবে পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ করা যাবে। অন্যদিকে অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে ব্যাংক বছরে একটি সনদ বিনামূল্যে দেবে। পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা চার্জ করা যাবে। এই ফি ও চার্জের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ওই পাঁচ রকমের সেবা ছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজ–সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, যেমন মুনাফা, কুপন, আসল পরিশোধ, অ্যালটমেন্ট, হোল্ডিং রিপোর্ট, বিপিআইডি বন্ধ করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।