গত আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের পর্যটন ভিসা দেওয়া যে বন্ধ রেখেছে প্রতিবেশী ভারত। শিগগীরই এটি চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন আভাসই দিয়েছে।
এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল কোনো রাখঢাক না রেখেই ভিসা বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যতক্ষণ না বাংলাদেশে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে’ এবং ‘অনুকূল পরিবেশ আবারও ফিরে না আসছে’, ততক্ষণ সে দেশে তাদের ভিসা কার্যক্রম কোনোমতেই স্বাভাবিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো সীমিত আকারে (‘লিমিটেড’) ভিসা দিচ্ছি। চিকিৎসার কারণে, বা জরুরি কোনও কারণে কারও ভারত আসার দরকার হলে লিমিটেড সংখ্যায় সেই ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’
‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি উন্নতি হয় এবং আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মের উপযুক্ত পরিবেশ যদি ফিরে আসে, তখনই আবারও আমরা আগের মতো ভিসা দিতে পারবো।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে আপনারা যেসব আশ্বাস দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করুন। তারা যাতে নিরাপদ বোধ করেন, সেই ব্যবস্থা নিন।’
তার এই উত্তরে আভাস দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে তারা সন্তুষ্ট নয়।
গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তখন থেকে হাসিনা ভারতেই আছেন। আর হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। অথচ ভারতে বাইরের যে দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক আসেন, সেটি কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার কোনও দেশ নয়– বরং বাংলাদেশ।
কোভিড মহামারির আগের বছরও ভারত বাংলাদেশে প্রায় ১৮ লাখ পর্যটন ভিসা ইস্যু করেছিল, যা একটি রেকর্ড। এই ভিসা-প্রাপকদের মধ্যে অনেকে একাধিকবার ভারতে এসেছিলেন। ফলে ধারণা করা হয়—২০১৯-২০ অর্থবছরে অন্তত ২০ থেকে ২২ লাখ বাংলাদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন।
পর্যটন সংবাদ/