গত মৌসুমের শেষ দিকেই অবশ্য চাকরি হারানোর শঙ্কায় ছিলেন এই ডাচ কোচ। তবে শেষ মুহূর্তে এফএ কাপ জয় আরেকটি সুযোগ এনে দেয় তার সামনে; কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি টেন হাগ । চলতি মৌসুমে একের পর এক ব্যর্থতায় ইউনাইটেডের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে ।
প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে ৯ ম্যাচ শেষে ৩ জয়, ২ ড্র ও ৪ হারে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ‘রেড ডেভিল’দের অবস্থান ১৪ নম্বরে। এমন পরিস্থিতিতে টেন হাগের চাকরি টিকে থাকাটাই বরং বিস্ময়কর হতো। তেমন কিছু অবশ্য হয়নি, গতকালই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছে ইউনাইটেডের কর্তৃপক্ষ।
টেন হাগ আয়াক্স থেকে ইউনাইটেডে আসার পর একপর্যায়ে পর্তুগিজ মহাতারকার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। এর মধ্যে টটেনহামের বিপক্ষে এক ম্যাচে বদলি হিসেবে নামতে বললে খেলা চলাবস্থায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ‘সিআর সেভেন’। শাস্তি হিসেবে চেলসির বিপক্ষে পরের ম্যাচে রোনালদোকে স্কোয়াডে থেকে বাদ দেন টেন হাগ।
অতীত মনে রেখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এখনো ভালোবাসেন রোনালদো
এ বিরোধের জেরে বিশ্বকাপ চলাকালে এক সাক্ষাৎকারে টেন হাগকে নিয়ে বেশ ক্ষিপ্ত মন্তব্য করেন রোনালদো, ‘তাঁর জন্য আমার কোনো সম্মান নেই। কারণ, আমাকেও তিনি সম্মান দেখান না। কেউ আমাকে সম্মান না দিলে আমি তাঁকে সম্মান দিই না।’ এরপর ইউনাইটেডকে বিদায় জানিয়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে চলে যান রোনালদো।
রোনালদোর সঙ্গে টেন হাগের আচরণ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা । এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে যানা যায় ইউনাইটেডের অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় মনে করেন, সে সময় রোনালদোকে ‘অপ্রয়োজীনয়ভাবে অপমান’ করেছিলেন টেন হাগ। তারা মনে করেন রোনালদোর বিষয়ে টেন হাগের নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ছিল। শুধু রোনালদো নয়, জ্যাডন সানচোর সঙ্গেও বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বেশ আলোচনা–সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল টেন হাগকে।