জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে ৩ লাখ করে মোট ১৫ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। কমিশনারের নির্দেশে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন এবং ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে অনুদানের অর্থ হস্তান্তর করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এর আগে গত শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ডিএমপি কমিশনার গত জুলাই-আগস্টে নিহত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪ জন সদস্যের প্রত্যেকের পরিবারকে ডিএমপির নিজস্ব তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার ব্যপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে যে সকল নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত হয়েছেন তারা হলেন- পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, এসআই খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, এএসআই ফিরোজ হোসেন, কনস্টেবল খলিলুর রহমান ও কনস্টেবল মো. শাহিদুল আলম।
পর্যায়ক্রমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত ডিএমপির অন্যান্য সকল পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছেও আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।